এখন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার। প্রতি সেকেন্ডে ১.১ কুইন্টিলিয়ন হিসাবের মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশটির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (ওআরএনএল) ‘ফ্রন্টিয়ার সুপার কম্পিউটার’টি। এর আগে সুপার কম্পিউটারের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডটি ছিল জাপানের তৈরি সুপার কম্পিউটার ফুগাকুর (Fugaku) দখলে। ফুগাকুর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪৪২ পেটাফ্লপ। আর ফ্রন্টিয়ারের (Frontier) সর্বোচ্চ গতি ১.১ এক্সাফ্লপ। ২০২০ সালে ফুগাকু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের সিংহাসন দখল করার আগে পরপর দু’বছর সিংহাসনটি আইবিএমের তৈরি ‘সামিট’ সুপার কম্পিউটারের দখলে ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য নতুন প্রজন্মের এক্সাস্কেল কম্পিউটারটির নাম হচ্ছে ফ্রন্টিয়ার। অন্যদিকে গ্রিন-৫০০ তালিকাতেও শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে ফ্রন্টিয়ার। একটি সুপার কম্পিউটার বিদ্যুৎ খরচের বেলায় কতটা সাশ্রয়ী তার ওপর নির্ভর করে এই তালিকা।
সুপার কম্পিউটারগুলো আকারে এতটাই বড় যে, এটি রাখার জন্য কয়েক তলা বিশিষ্ট একটি দালানের দরকার হতে পারে।
এই সুপার কম্পিউটারগুলো চালানোর জন্য ছোটখাটো একটি শহরের চাহিদার সমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই দানবীয় কম্পিউটারগুলো পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহাবিশ্বের নানা জটিলতার উত্তর খোঁজার কাজে ব্যবহৃত হয়। এমনকি ওষুধ ও টিকা নিয়ে গবেষণাতেও ভূমিকা রাখতে পারে একটি সুপার কম্পিউটার।
এখনো চীনের হাতে রয়েছে শীর্ষ তালিকার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুপার কম্পিউটার। ১৭৩টি সুপার কম্পিউটার আছে চীনের হাতে। তার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় থাকা সুপার কম্পিউটারের সংখ্যা এখন ১২৬টি।
সূত্র: নয়া দিগন্ত